দুদিন আগে চিটাগং ভাইকিংসের অনুশীলনে জিয়াউর রহমান-এনামুল হক আলোচনা করছিলেন ক্রিস গেইলকে নিয়ে। রসিকতা করে সেখানেই একজন বললেন, ‘গেইল সব রান জমিয়ে রেখেছে বরিশাল বুলসের শেষ দুটি ম্যাচের জন্য।’
গেইল কিন্তু তত দিন অপেক্ষা করলেন না। ঝড় তুললেন কালই, চিটাগংয়ের বিপক্ষে! বাউন্ডারি পার হলো কি না সেটি নয়; দেখার ছিল গেইল গ্যালারিতে বল পাঠাতে পারেন কি না! প্রথম দুবার লং-অন দিয়ে উড়িয়ে মারা বল ফিরে এসেছে বেষ্টনীতে লেগে।
বিলওয়াল ভাট্টির বলটা অবশ্য ফিরে এল না। ডিপ মিড উইকেটের ওপর দিয়ে উড়ে গিয়ে পড়ল একদম গ্যালারিতে! সেটাও মারলেন আবার এক হাতে! দোর্দণ্ড প্রতাপে জ্যামাইকান ওপেনার একাই গুঁড়িয়ে দিলেন চিটাগংকে।
প্রথম দুই ম্যাচের ব্যর্থতা পুষিয়ে দিলেন ৪৭ বলে ৯২ রানের এক টর্নেডো ইনিংস খেলে। অল্পের জন্য হাতছাড়া হলো বিপিএলে নিজের চতুর্থ সেঞ্চুরি। গেইলকে সংগত করলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। দুজনের অবিচ্ছিন্ন®তৃতীয় উইকেট জুটিতে এল ১১০ রান। ইনিংসে চার ৬টি, ছয় ৯টি; স্ট্রাইক রেট ১৯৫.৭৪!
তামিম ইকবালের চোটের কারণে উদ্বোধনী জুটিতে তিলকরত্নের সঙ্গী হয়েছিলেন এনামুল হক। ফুরফুরে মেজাজেই শুরু করেছিলেন দুই চিটাগং ওপেনার। উদ্বোধনী জুটিতে এল ৩৪ বলে ৫২ রান। ওভারপ্রতি রান প্রায় দশের কাছাকাছি। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে বড় স্কোরই হতে পারত চিটাগংয়ের। তা আর হলো কোথায়!
হাতে উইকেট থাকার পরও চিটাগংয়ের রান উঠল কিছুটা শ্লথগতিতে। শেষ ৪ ওভারে চিটাগং তুলতে পারল মাত্র ২৪। ২০ ওভার শেষে ১৩৫। নিজেদের শেষ ম্যাচ। শেষ চারে ওঠার সমীকরণ নেই সামনে। ছিল না বাড়তি চাপও। চিটাগংয়ের হারানোর আসলে কিছুই ছিল না। বরং পাওয়ার ছিল অনেক কিছু। ৮ উইকেটে হেরে প্রাপ্তির ঝুলিতে যোগ হলো না সান্ত্বনার নুড়িপাথরও। তবে চিটাগংয়ের বিষাদের দিনে অন্য দলগুলোকে গেইল দিয়ে রাখলেন ‘নয় নম্বর মহাবিপদ সংকেত’!